শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
ফেনী জেলার মানুষের কাছে এবারের বন্যা একদিকে যেমন আকস্মিক অন্যদিকে অকল্পনীয়। শুধু ফেনী নয়, এর আশপাশের জেলাগুলোতে বন্যা আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। বহু জায়গায় বন্যার পানি ঘরের চাল ছুঁয়েছে কিংবা উপচে গেছে। ফেনীর পাশের জেলা কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যার তীব্রতা অনেককে হতবাক করেছে।
ভারত সীমান্তের লাগোয়া ফেনী জেলায় এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে। সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে এই জেলাগুলোর বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে ‘সচরাচর বন্যা হয় না’।
এর আগেও, বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার ক্ষেত্রে ‘অস্বাভাবিক’ বন্যার কথা শোনা গেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলগুলোতে সচরাচর বন্যা না হবার তথ্যটি সঠিক নয়।
আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১১টি জেলা, যেগুলোর মধ্যে আছে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামও।
ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরামে কয়েকদিন ধরেই অতি বৃষ্টিপাত ও বন্যার খবর গণমাধ্যমে এলেও বাংলাদেশে এ নিয়ে খুব বেশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে দুদিন আগে ফেনী ও কুমিল্লা অঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করলে বেশ সরব হয় ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বিশেষ করে এই অঞ্চলের মানুষ ‘বন্যায় অভ্যস্ত না এবং স্মরণকালে এমন বন্যা দেখেননি’ বলেও জানান কেউ কেউ। এ হালিম নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমরা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উত্তরের মানুষ বন্যা বা পানির সাথে মোকাবেলা করে থাকা অভ্যস্ত না, কারণ সচরাচর আমাদের এলাকায় বন্যা হয় না।’
আজিজুল হাকিম নিলয় নামে আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ফেনীতে সচরাচর বন্যা হয় না। এমন পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা আগে কখনোই ছিলো না, প্রস্তুতিও ছিলনা।’